পাখিদের দেখেই বিমানের কল্পনা মানুষ করেছিল কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। কিন্তু পাখির গতিবিধি হুবহু নকল করে ড্রোনের উন্নতি যে সম্ভব তাতে কোনও বিজ্ঞানীই দ্বিধা করবেন না।
সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, উপরে ওড়ার সময় যদি ডানা ভাঁজ করে রাখলে আরও ভালোভাবে উড়তে পারে পাখিরা। অর্থাৎ, ড্রোনের ক্ষেত্রেও যদি কার্যকারিতা বাড়াতে হয় তাহলে ডানার প্রয়োগ দরকার। সাথে এটাও দেখতে হবে যে সেই রবোটিক ডানা ভাঁজ করার প্রযুক্তিও যেন থাকে।
শুধু পাখি নয়। তাদের পূর্বসূরি খেচর ডাইনোসরের প্রজাতিও এই ডানা ভাঁজ করার ‘টেকনিক’ জানত। বর্তমান যুগে যেসব প্রাণী উড়তে পারে তাদের মধ্যে পাখিরাই সবচেয়ে বড়ো। সুতরাং বায়ুগতিবিদ্যার পাঠ পাখিদের থেকেই নেওয়া যায়। তাতে অনুপ্রেরণা পাবে ড্রোনের নিত্যনতুন প্রযুক্তিও। সেসব ভেবেই সুইডেন আর সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে একটা অভিনব রবোটিক ডানা তৈরি করলেন।
লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার অধ্যাপক ক্রিস্টোফার জোহানসন জানিয়েছেন, এমনভাবেই এই রোবট তৈরি করা হল যাতে পাখিদের ওড়ার ক্ষমতা নকল করা হয়েছে। কিন্তু আবার, এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পাখিরা পারে না। বায়ুসুড়ঙ্গের মধ্যে কয়েকবার পরীক্ষা করে এই রবোটিক ড্রোনের দক্ষতা দেখে নেওয়া হবে।