ইউরোপে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা নতুন নয়। তবে সমাধানের রূপরেখা দিচ্ছেন রিচম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সাস্টেনেবিলিটির গবেষক ডঃ আসাফ শাচর। আইসল্যান্ডের মতো ছোট দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে ইউরোপবাসীর খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে। একইসাথে কার্বন দূষণের মোকাবিলাও করা সম্ভব।
ডঃ আসাফের হিসেব অনুযায়ী, ইউরোপের ৪০ মিলিয়ন বাসিন্দার জন্য নিরাপদ আর স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের জোগান দিতে পারে আইসল্যান্ড। সাথে ৭০০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমনও কমানো যাবে বলে ডঃ আসাফের আশা। ঐ ছোট দেশটা থেকেই হাজার হাজার টন প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পৌঁছে যাবে ইউরোপের বড়ো বড়ো দেশগুলোতে। এমনকি উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর জন্য আইসল্যান্ড হয়ে উঠতে পারে প্রোটিন খাদ্যের রপ্তানিকারক।
নতুন নতুন শস্য আর খাদ্য উৎপাদনের পদ্ধতিগুলো এই গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয়েছে। কতটা শক্তির ব্যবহার হচ্ছে, উৎপাদনের পরিমাণের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়েছে সেটাও। বর্তমানে ব্যবহৃত শক্তির ১৫% ব্যবহার করেই ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৯০০০০ জন মানুষের জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার উৎপাদন করা যাবে।
এই প্রকল্প সত্যিই বাস্তবায়িত হলে গোটা আইসল্যান্ডের খাবারে জোগান তো নিশ্চিত হবেই। সাথে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটাভিয়া, এস্তোনিয়া সহ আরও ছোটখাটো কয়েকটা দেশের কয়েক লক্ষ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হতে পারে।