ব্লু সুপারমুন দেখা যাবে এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে- এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে একটি নিখুঁত বৃত্তে ঘোরে না বরং, চাঁদের পথটি একটি ডিম্বাকৃতির মতো যা চাঁদকে তার উপবৃত্তাকার যাত্রায় নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৃথিবীর কাছাকাছি নিয়ে আসে। সুপারমুন দেখা যায় যখন চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি বা তার নিকটতম বিন্দুতে থাকে যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায়, পেরিজি বলে এবং তা পূর্ণ চন্দ্র। বিজ্ঞানীরা একে “পেরিজিয়ান ফুল মুন” বলে অভিহিত করেছেন এবং এটি ৩০% বেশি উজ্জ্বল হতে পারে এবং ইউরোপেরর ন্যাশনাল স্পেস সেন্টার অনুসারে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত পূর্ণ চাঁদের তুলনায় প্রায় ১৪% বড়ো হতে পারে। ব্লু মুন বা নীল চাঁদ কিন্তু সত্যি বিরল। যদিও শব্দটি মূলত একই গ্রীষ্মমন্ডলীয় বছরের মধ্যে একটি অতিরিক্ত পূর্ণিমাকে বোঝায় — দুটি বিষুব-এর মধ্যবর্তী সময়কাল — কিন্তু এখন এটি একই মাসের মধ্যে হওয়া দুটি পূর্ণিমাকে বোঝায়। সমস্ত ব্লু মুনই সুপারমুন নয়, আর আগস্ট মাসে এটাই ঘটতে চলেছে। এই বছরে অগস্ট মাসে এই দুটি ঘটনাই একসাথে ঘটতে চলেছে, আমরা ব্লু সুপারমুন দেখতে চলেছি। এসপেনাকের তথ্য অনুসারে পরের বার একই মাসে দুটি সুপারমুন ঘটবে ২০৩৭ সালের জানুয়ারিতে ।
এ বছরের ব্লু সুপারমুনের প্রথমটি আগস্ট মাসের প্রথম দিনে দেখা যাবে অর্থাৎ পয়লা আগস্ট এবং গড় পূর্ণিমার চেয়ে চাঁদকে প্রায় ৭.১ শতাংশ বড়ো এবং প্রায় ১৫.৬ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। দ্বিতীয়টি দেখা যাবে ৩০শে আগস্ট। এটি প্রথমটির থেকে ০.১ শতাংশ বড়ো এবং উজ্জ্বল হবে। তবে এই চাঁদের রঙ কিন্তু নীল দেখাবে না, বরং কিছুটা কমলা আভা থাকবে। চাঁদ যখন দিকচক্রবাল রেখার কিছুটা উপরে দেখতে পাওয়া যায় তখন এটি স্বতন্ত্রভাবে কমলা রঙের দেখায় কিন্তু যদি চাঁদ আকাশে অনেক উঁচুতে দেখতে পাওয়া যায় তবে এর রঙ উজ্জ্বল রূপালী দেখায়। এর কারণ হল সূর্যাস্তের মতোই, যখন চাঁদ নীচের দিকে থাকে, তখন এর আলো পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আরও বেশি ঘন স্তরের মধ্য দিয়ে যায়। তার ফলে নীল বা বেগুনির মতো ছোটো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর হ্রাস পায় কারণ তারা বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে, লাল এবং কমলার মতো দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলও আকাশে চকচক করে।