বায়ো টেকনোলজি অ্যাডভান্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হচ্ছে, সাধারণত ফল এবং শাকসবজিতে প্রাপ্ত পলিফেনলিক যৌগ, চিনির অণুর সাথে মিশিয়ে সম্ভাব্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগতে পারে। পলিফেনল শ্রেণির যৌগ অনেক উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারে পাওয়া যায়, এটা শরীরের কোশের ক্ষতি প্রতিরোধে এবং ক্যান্সার বা হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তবে সব পলিফেনল জলে দ্রবীভূত হয় না, ফলে শরীর তাদের থেকে প্রাপ্ত সুবিধা সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করে পারে না।
পলিফেনলগুলোর শরীরের উপর বিভিন্ন সুফলযুক্ত প্রভাব রয়েছে এবং সম্ভাব্য ওষুধ ও স্বাস্থ্য সম্পূরক ওষুধ তৈরির জন্য তা ব্যবহার করা যেতে পারে। পলিফেনলের যেমন প্রাকৃতিক সংরক্ষণ করার ক্ষমতা আছে তেমন তা ক্ষতিকারক পদার্থের হাত থেকে আমাদের শরীরের টিস্যুগুলিকে রক্ষা করতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, জলে কম দ্রবণীয়তা এবং কম জৈব প্রাপ্তি তাদের উপকারিতা সীমিত করেছে, কিন্তু চিনির অণু সংযুক্ত করে, আমরা তাদের জলে দ্রবণীয়তা বৃদ্ধি করতে পারি। চিনি যুক্ত করার এই প্রক্রিয়াকে গ্লাইকোসিলেশন বলা হয়।
চিনির গঠন এবং পলিফেনলের গ্লাইকোসিলেশন প্যাটার্নগুলো পরিবর্তন করতে গবেষকরা নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন, যেমন ব্যাকটেরিয়ার ফারমেন্টেশন। চিনির জৈব সংশ্লেষণে জড়িত এনজাইম এবং প্রক্রিয়াগুলো পর্যবেক্ষণ করে, এখন আরও কার্যকর গ্লাইকো-ড্রাগ তৈরি করা সম্ভব। ব্যাকটেরিয়াতে এই যৌগগুলির উত্পাদনের পিছনে যে প্রক্রিয়া যুক্ত তা অন্বেষণ করে এবং চিনির জৈব সংশ্লেষণের জন্য দায়ী পদ্ধতিগুলো থেকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান তৈরি করা যায়। ল্যাবে পলিফেনলিক গ্লাইকোসাইড তৈরি করার বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও তা বেশিরভাগই এখনও ল্যাবের ছোটো পরিসরে কার্যকরী। এই গবেষণা ভবিষ্যতে উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়ে এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তৈরি করতে সচেষ্ট হবে।